Ticker

6/recent/ticker-posts

বিকাশে লোন নিন ৫০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত

আজকে বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার বিস্তারিত কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সবকিছু সঠিক ভাবে জানতে পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পরুন। 

• লোন কি?  

লোন হচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেওয়া। নির্দিষ্ট সময় পর পর কিস্তির মাধ্যমে এই লোনের সমস্ত টাকা পরিশোধ করা হয়। 


• বিকাশ কি আসলেই লোন দেয়?  

হ্যা। বিকাশ লোন দেয়। বিকাশ লোন চালু করেছে সিটি ব্যাংকের যৌথ প্রযোজনায়। এই লোনটি বিকাশ তাদের নিজস্ব এপ্সের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রদান করে থাকে। Bksh ব্যবহারকারীর অ্যাপ থেকে ‘Loan’ আইকনে ক্লিক করেই আবেদন করা যায়, কোন কাগজপত্র ছাড়াই ও খুব দ্রুত (মূহুর্তেই) টাকা পাওয়ার সুবিধা। 


• লোনের পরিমান ও সময়সীমা : 

সর্বনিম্ন : ৫০০ টাকা 

সর্বোচ্চ : ৫০০০০ টাকা ( বিগত জুন মাসে  এই লিমিট বাড়ানো হয়েছে)  

• সর্বোচ্চ ৬ মাস (Pay Later) বা ৩ মাস (Nano Loan)

এর সুবিধা রয়েছে। 


• সুদের হার ও ফি : 

• সাধারণত প্রায় ৯ %  রেইটে লোন দেওয়া হয়

• লোনের পরিমাণের উপর ০.৫৭৫ % শুল্ক কার্যকর করা হয় সরকারি নিয়মে।  

• প্রথম ৭ দিনের মধ্যে পুরো লোন ফেরত দিলে সুদ শূন্য।

• সময়োত্তীর্ণ হলে এটি ৩‑মাসের Nano Loan-এ পরিবর্তন, ৯ % সুদ পে.এ কার্যকর হয়


 • Eligibility এবং আবেদন প্রক্রিয়া :

বিকাশ একাউন্টটি সচল থাকতে হবে এবং Biometric Verification করা না থাকলে করে নিতে হবে। নিয়মিত লেনদেন যেমন Add Money, Payments, Savings, Recharge করলে Loan নেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।  আচ্ছা এখন আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলি - 

১.  বিকাশ এপ্সে প্রবেশ করুন এবং " Loan " আইকনে ক্লিক করুন 

২.  এমাউন্ট লিখুন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী 

৩.  Loan এর টার্মস এন্ড কন্ডিশন পড়ে আপনার  বিকাশ একাউন্টের পিন প্রদান করে লোন  নিন 

৪.  মাসিক কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকাশ একাউন্ট থেকে  কেটে নেওয়া হবে।  তাই বিকাশ একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা রাখুন।

৫. Partial বা full repayment যেকোনো সময় করা যায়। Interest  শুধু ব্যবহৃত দিনের জন্য হিসাব হয়।  


•  বিকাশ লোনের সুবিধা  :  

অল্প সময়ে লোন নেওয়া যায় ব্যাংকে সরাসরি যেতে হয় না।  প্রায় ৫০০০০ টাকা লোন নেওয়া যায়।  অতিরিক্ত কাগজ পত্রের দরকার হয় না শুধু মাত্র নিয়মিত লেনদেন এবং E- KYC  থাকলেই বিকাশ লোন নেওয়া যায়।  সহজে পরিশোধ ও করা যায়।  


• বিকাশ লোনের অসুবিধা : 

উচ্চ পরিমানে ইন্টারেস্ট ধার্য করা হয়। নির্ধারিত দিনে ব্যালেন্স না থাকলে লেইট প্যানেল সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  কম লেনদেন বা e‑KYC না থাকলে এই Loan সেবা পাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে যায় 

 

এই ছিলো আজকের বিকাশ লোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন 

আপনার বন্ধুদের সাথে।  নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন,  ধন্যবাদ